২৩ জানুয়ারি "Safe Transport Day" পালন করা যায় কি?
![]() |
মাঝখানে ডলি ম্যাডামের স্বামী দেলোয়ার ভাই |
মাঝে মাঝে দেখা হয় গত ২৩ জানুয়ারি,২০১৬ খ্রিঃ গাজীপুরের পূবাইলে বয়লার
বিস্ফোরনের সময় বয়লারের ছিটকে আসা আগুনে পুড়ে নিহত হওয়া বাড়ইবাড়ি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকা জেবুন্নেসা সিদ্দিকা ডলির স্বামী,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্বাহি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ভাইয়ের সাথে।
রাস্তায় হাঁঠতে হাঁঠতে অনেক কথাই হলো। মা হারা ২ সন্তানকে নিয়ে মতিঝিলের স্টাফ কোয়াটারে নিসঙ্গতায় বিষণ্ণ দিন পার করছেন।
সন্তানদের জন্যই পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসা। কিন্তু ঢাকার বাহিরের শিক্ষকদের ঢাকা শহরে বদলির সুযোগ না থাকায় তাঁর স্ত্রীকে মতিঝিল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হতো। ঢাকায় ডেপুটেশনের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
যদিও মৃত্যুকে আটকানোর ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো নেই, তারপরও বলা যায় ঢাকা শহরে বদলির সুযোগ থাকলে হয়তোবা এই যন্ত্রণার মৃত্যু তাঁকে ভোগ করতে হত না।
কথাপ্রসঙ্গে বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থা
তথা রাস্তায় চলার ঝুঁকির কথাও উঠে আসলো। সাধারণ মানুষের নিরাপদে ঘরে পৌঁছা
এখন স্বপ্নের মতো সেটা হোক সড়কপথ, হোক জলপথ বা আকাশপথ। কেউ রাস্তা দিয়ে
যাচ্ছে,হঠাৎ নির্মানাধিন ভবনের ইট,লোহার আঘাতে তার জীবন শেষ।
কেউ লঞ্চে যাচ্ছে; অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাইয়ের কারনে লঞ্চ ডুবে গেল। আর গাজীপুরের বয়লার বিস্ফোরনে বয়লারের খণ্ডিতাংশ রাস্তায় চিটকে পড়া অনিরাপদ যাতায়াতকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। যার ফল,সারাদিন বিদ্যালয়ে পরিশ্রম শেষে বিকেলে লাশ হয়ে ঘরে ফেরা।
তাই নিরাপদ যাতায়াতের জন্য সচেতনতা বাড়াতে
আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই উদ্যোগ নিতে পারি। কারণ যে লোকটি রাস্তার
পাশে অনুমোদনহীন কারখানা স্থাপন করেছে সে বেশি না হোক অন্তত প্রাথমিকের
গণ্ডিতো পার করেছে, যে লোকটি নিরাপত্তা চাদর ছাড়া রাস্তার পাশে উচুঁ ভবন
নির্মাণ করছে সেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্তত পড়েছে, গাড়ী চালক, লঞ্চ চালক,
লঞ্চ মালিক সবাই একদিনের জন্য হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন।
তাহলে আসুন “নিরাপদ যাতায়াত দিবস (Safe Transport Day)” পালনের সূচনা
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু করি। হতে পারে সেই দিনটা ২৩ জানুয়ারি!
Post A Comment:
0 comments: