ছোট শিক্ষক বনাম বড় শিক্ষক বনাম আমলা,
বনাম আমাদের
গর্বিত প্রধানমন্ত্রী
শিশুরশারীরিক,মানসিক,সামাজিক,নৈতিক,মানবিক,নান্দনিক,আধ্যাতিক ও আবেগিক বিকাশ সাধন এবংতাদের দেশাত্ববোধে,বিজ্ঞান মনষ্কতায় সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্ভুদ্ধ করা-এটা হলো প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য । যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারন হচ্ছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা ছোট শিক্ষকরা কাজ করে যাচ্ছি। কেননা প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি ।
তাই ভিত্তিমূকের লক্ষ্যটা হওয়া চাই বিজ্ঞানসম্মত, যুগোপযোগি ও মজবুত। কিন্তু এ ভিত্তিমূলের লক্ষ্যটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পরেছে আমাদের দেশের অভাগা ছোট শিক্ষকদের উপর । আমরাও প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব নিয়েছি বঙ্গবদ্ধুর স্বপ্নে লালিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক বৃহৎ রাষ্ট্রের ছোট এক একটি বাগানের।কেননা আমরা ছোট শিক্ষক।আমরাও এ স্বপ্নকে মনের মধ্যে লালিত করে জন্ম দিচ্ছি হাজারো রঙেগ রঞ্জিত নানা রকম ফুল। যা দেশ থেকে দেশান্তরে সুগন্ধ ও আলো বিলিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আজও আমরা আমাদের বাগানের বাড়ন্ত ওফুটন্ত ফুলগুলোর স্বস্ত্ব দাবী করতে পারিনি। ফলে আমরাও পাইনি আমাদের উপযুক্ত সম্মান।আর আমাদের দেশের বড় শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উপর তীর ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা সচিব হতে যাব কেনআমরা সচিব বানাই।হ্যাঁ, উনারা সচিব বানান।সত্যিই উনারা সচিব বানান আর তাই একজন রাষ্ট্র নায়কের মূখের কথা থামিয়ে দিতে এতটূকু ভয় পাননি।কিন্তু আমরা ছোট শিক্ষকরা যে কি বানাই তা আজও মূখ ফূটেবলতে পারলাম না।কারন আমাদের লক্ষ্য বৃহৎ হলেও আমরা তো ছোট শিক্ষক।আমরা যে, সেই ছোট্ট শিশুটিকে প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্যে দ্বারার আবৃত্ত করে উপযুক্ত মানুষ হিসাবে মর্যাদার আসনে উঠিয়ে দিয়েছি তাকে আর কোন দিন ছুতে পারিনি ।
আমাদের ইচ্ছাও ছিল তাই। আমাদের স্বপ্নে লালিত সুগন্ধি ফুলটি হবে আমাদের বড় শিক্ষক, বড় আমলা বা আমাদের আলোক উজ্জলগর্বিত প্রাধানমন্ত্রী। সত্যেই আমরা পেয়েছি আমাদের এ ভূখণ্ডে উদ্ভাসিত আলোকজ্জ্বল আমাদের গর্বিত প্রধানমন্ত্রী।তিনি যে প্রাথমিক শিক্ষকদের শুধ সম্মান দিয়েছেন তাই নয় তিনি সম্মনিও সসকরেছেন এ দেশ ও দেশের মনুষের কাছে। তিনি আমাদের ছোট শিক্ষকদের সম্মানের কথা বিবেচনা করে এক সাথে প্রায় ২৬ হাজারের ও বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন ।
যার মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া হিসাবে ইতিহাসের পাতায় নিজের নামকে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করেছেন শুধু তাই নয়, তিনি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা দানের নিমিত্তে প্রাথমিক বিদযালয়ের প্রাধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ উন্নিত করেছেন যা এই বাংলার ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। এত সব দৃষ্টান্তর মাঝেও কেন জানি ছোট শিক্ষকরা নিজেদেরকে সম্মানিত ভাবতে পারছেন না। মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা এ যেন সন্তান ভুলানোর নামে মায়ের আঁচলে ঢেকে রেখে জোর করে চকলেট খাওয়ানোর মত যাতনা। প্রকৃত অর্থেই দেশ মাতা আমাদের মর্যাদা দিয়েছেন কিন্তু বাধঁ সেঁধেছেন আমাদের অতি আদরের দেশ সেরা আমলারা। কিন্তু কেন ? তারা কি এই ছোট শিক্ষকদের সংস্পর্শে ছিলেন না? ছিলেন, অবশ্যই ছিলেন কিন্তু সেদিনের কথা তাদের আজ আর মনে নেই।আর থাকবেই বা কেন?
তারা এখন আমলা, বড় আমলা, দেশ সেরা আমলা। তাই বড় আমলাদের বলি আপনারা দেখুন দেশ মাতা প্রধানমন্ত্রীকে, তিনি কিভাবে শিক্ষকদের সম্মানিত করেছেন। আপনাদের ষড়যন্ত্রে বেড়াজালে তৈরী হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আন্দোলনকে মমতার আঁচলে ঢেকে দিয়ে বাংলার জনগনের মাথাকে স্বগৌরবে উচুঁ করে রেখেছেন। তাই আমলাদের বলছি ইতিহাস অক্ষয়, শিক্ষকদের সাথে বেঈমানি করাকে ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবেনা। আমরা ছোট শিক্ষকরা আপনাদের মসৃণ পথের কাঁটাঁ নই। আমরা শুধু আমাদের ন্যর্য অধিকার চাই। আমরা আন্দোলন চাইনা। আমরা চাই আমাদের গর্বিত প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষকদের যে দ্বিতীয় শ্রেণী গেজেটেড পদমর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন। আমরা চাই শিক্ষক সমাজকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে সকল শ্রেণী বিভেদ তুলে দিতে ।
আমরা কর্মকর্ত,কর্মচারী হতে চাই না। আমরা চাই শিক্ষক হয়ে থাকতে। আমরা চাই শিশুকে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, মানবিক, নান্দনিক, আধ্যাতিক ও আবেগিক বিকাশ সাধন এবং তাদের দেশাত্ববোধে, বিজ্ঞান মনষ্কতায় সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্ভুদ্ধ করা-এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বাংলার ভবিষ্যত প্রজন্মকে উত্তম নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে যেন তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে। পারে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে।
এইচ,এম,মহসিন চৌধুরী
প্রাধান শিক্ষক
বনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ছাতক, সুনামগঞ্জ।
Post A Comment:
0 comments: